পর্যটকদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় এশিয়ার ৭ টি গন্তব্য । Top Seven Destinations in Asia

Travel Trends 2024, Sustainable Travel, Adventure Travel, Digital Nomad Destinations, Luxury Travel, Cultural Travel, Post-Pandemic Travel, Family Travel, Solo Travel Tips, Staycation Ideas

 সমগ্র বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এশিয়া এর দেশগুলোর একটা বিশেষ কদর আছে। একঘেয়েমি শীত প্রধান অথবা শুষ্ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত পশ্চিমা নাগরিকরা তাই এশিয়া এর উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়ার ছোঁয়া পেতে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসতে মোটেও দ্বিধা করে না। এখানকার আবহাওয়া, মানুষ জন এবং সংস্কৃতি সবই যেন তাদের কাছে নতুনত্ব বয়ে নিয়ে আসে। পশ্চিমারা সাধারণত এশিয়া তে আসে একটু উষ্ণ এবং মসলাদার স্বাদ পাবার জন্যে, সেটা পরিবেশ, মানুষ, প্রকৃতি বা খাবার যাই হোক না কেন। এশিয়া তাদের কখনই নিরাশ করেনি। এশিয়া তাঁর সীমাহীন বৈচিত্র্য দিয়ে বারবার পশ্চিমাদের মন জয় করে নিয়েছেন।




বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ইউ এস নিউজ সম্প্রতি পর্যটকদের পছন্দের উপর ভিত্তি করে কাছে এশিয়া এর সবচাইতে জনপ্রিয় স্থানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে। আমরা সেই তালিকার ছায়া অবলম্বনে আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি এশিয়া এর সবচাইতে জনপ্রিয় ৭টি শহরের বর্ণনা নিয়ে। আমরা শুরু এশিয়া করেছি সর্বোচ্চ জনপ্রিয় শহর থেকে। 


 


১। হংকং

এশিয়া কে পৃথিবীর বুকে সুপরিচিত করতে যে কয়টি রাষ্ট্রকে প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়, হংকং তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রাক্তন এই ব্রিটিশ কলোনিটিকে চীনের প্রবেশদ্বার বলা যেতে পারে। তবে এখানকার মানুষজন এবং তাদের সংস্কৃতিতে চীনা প্রভাব থাকলেও তা চাইনিজদের থেকে অনেক আলাদা। দীর্ঘদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিনে থাকার কারণে তাদের চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে প্রায় জীবনের সব ক্ষেত্রেই পশ্চিমা একটা প্রভাব খেয়াল করা যায়। পুরো হংকং শহর অনেক উন্নত এবং পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি করা। ছোট এই এলাকার জনবসতি অনেক বেশী হলেও পর্যাপ্ত পরিকল্পনার কারণে এখানে নেই কোন ট্রাফিক জ্যাম বা অন্য কোন অব্যাবস্থা। নেই দুর্নীতি, নোংরা পরিবেশ অথবা নিরাপত্তাহিনতা। হংকং এর আরও প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো উপভোগ করতে চাইলে এর আশে পাশে ছড়ানো দ্বিপগুলোতে বেড়াতে যেতে হবে। এখানে পাবেন অনেক সুন্দর সব সৈকত এবং সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা।




হংকং সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য

হংকং দ্বিপ, লান্তাউ দ্বিপ, কউলুন পেইনিনসুলা সহ মত ২৬২ টি দ্বিপ মিলে হংকং গঠিত।

এটা পৃথিবীর চতুর্থ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তালিকার প্রথমে আছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হলেও নগরায়নের জন্যে ২৫% জায়গা এবং পার্ক ও বিনোদনের জন্যে ৪০% যায়গা বরাদ্দ আছে। বাকি এলাকা পুরোটাই বনাঞ্চল।

হংকং এর বাসিন্দাদের হংকঙ্গিজ বা হংকঙ্গার বলা হয়।

এখানে চীনা (ক্যান্টোনিজ) এবং ইংরেজি এই দুই ধরনের ভাষা প্রচলিত আছে।

হংকং এর মানুষের গড় আয়ু পৃথিবীতে সবচাইতে বেশী। পুরুষদের ৮১.২ বছর এবং নারীদের গড় আয়ু .৮৬.৯ বছর।

হংকং কে বলা হয় স্কাইস্ক্র‍্যাপারের শহর। কোন বিল্ডিং ১৪ তলার বেশী হলে তাঁকে স্কাইস্ক্র‍্যাপার বলা হয়। সেই হিসেবে হংকং এ সবচাইতে বেশী স্কাইস্ক্র‍্যাপার আছে।

ঢাকা থেকে হংকং বিমান ভাড়া জনপ্রতি ২২,২০০ – ২২,৩০০ টাকা থেকে শুরু হয়।**

 


 


২। মালদ্বীপ 

সভ্যতা থেকে অনেকটা দুরেই অবস্থিত ভারত মহাসাগরের এই চমৎকার দ্বিপপুঞ্জ। প্রায় ১২০০ দ্বিপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই চমৎকার দেশটি। এখানকার প্রায় প্রতিটি দ্বিপেই আছে শুভ্র বালুকাময় সৈকত, কোরাল রিফ এবং সচ্ছ নীলাভ পানির এক অপূর্ব সমন্বয়। মালদ্বীপকে বলা হয় এশিয়াএর দ্বিতীয় চমৎকার পর্যটন কেন্দ্রও, চতুর্থ আরাম দায়ক সৈকত সমৃদ্ধ এলাকা ও পঞ্চম হানিমুন গন্তব্য!এখানকার সৈকত গুলো স্কুবা ডাইভিং এবং স্নরকেলিং করার জন্যে আদর্শ, যা আপনার মনকে বর্ণিল অভিজ্ঞতায় ভরে দিবে।




মালদ্বীপ সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য

মালদ্বীপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একজন নির্বাসিত রাজা দ্বারা। কলিঙ্গের রাজার তাঁর ছেলে আদিত্যর উপর রেগে গিয়ে রাজা তাঁকে মালদ্বীপে নির্বাসন দেন। এর পর রাজা আদিত্য সেখানে তাঁর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

মালদ্বীপে প্রায় ১১৯০ টি কোরাল রয়েছে।

পৃথিবীর মধ্যে মালদ্বীপের অবস্থান সবচাইতে নিচু ভুমি। এছাড়া এটি পৃথিবীর সবচাইতে সমতল ভুমি।

শুধুমাত্র রিসোর্ট ও হোটেল ব্যাতিত অন্য কোথাও অ্যালকোহল পাওয়া যায় না।

মালদ্বীপ পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ।

ছুটি কাটানোর জন্যে মালদ্বীপ খুব নিরাপদ একটি জায়গা।

মালদ্বীপে শুক্রবার এবং শনিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ধরা হয়ে থাকে।

এই দেশে শিক্ষিতের হার শতকরা ৯৮ % যা পৃথিবীর অন্যতম সর্বচ্চ।

মালদ্বীপেই বিশ্বের প্রথম আন্ডার ওয়াটার ক্যাবিনেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

 


 


৩। টোকিও

টোকিওকে বলা হয়ে থাকে এশিয়া এর তৃতীয় চমৎকার শহর। শুধু এশিয়া না বরং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এবং আধুনিক শহর বলা হয়ে থাকে এই টোকিওকে। একই সাথে দেশের রাজধানী এবং প্রধান শহর হবার কারণে এখনা এখানে জনবসতি ও ব্যাস্ততা অনেক বেশী। রাস্তায় অনেক ভিড় থাকে। সেদিক থেকে নতুন পর্যটকদের জন্যে অনেক সময় ঝামেলাময় কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু টোকিওর মত একটি শহরের অভিজ্ঞতা নিতে হলে আপনাকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতেই হবে। শহরের পুরোটাই আসলে অনেক মনমুগ্ধকর। এর পাশাপাশি জুকিজি মার্কেট, টোকিও ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও মেইজি স্রাইনের মত অনেক দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দুর্লভ অভিজ্ঞতা পাবেন।




টোকিও সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য

জায়গার তুলনায় টোকিওতে অনেক বেশী পরিমান লোকজন বসবাস করে তাই রাস্তাঘাটে খুবই ভিড় থাকে।

এখানে চলতে হলে আপনাকে অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। যেমন বাস স্ট্যান্ড, লিফট, কিংবা খাবরের জন্যও অবশ্যই লাইন ধরতে হবে, অন্যদের সহযোগিতা করতে হবে, কাউকে বিরক্ত করা যাবে না ইত্যাদি। এগুলা মোটামুটি আইন হিসেবে বিবেচিত হয়।

জাপানের মানুষ জন অনেক ভদ্র আর বিনয়ি হয়।

রাস্তায় চলতে গেলে আপনি অনেক মজার মজার স্ট্রিট সাইন দেখতে পাবেন।

এখানকার মানুষ অনেক ফ্যাশনপ্রিয়। তাঁরা প্রচুর ট্যাটু করে, পশ্চিমা স্টাইলে চুল কাটে। চুল রঙ করার ব্যাপারে আধুনিক জাপানিদের বিশেষ দুর্বলতা আছে।

এখানকার খাবার দাবার অনেক সস্তা, কম দামি এবং স্বাস্থ্যসম্মত। এবং খুব সহজেই হাতের কাছেই তা পেয়ে যাবেন আপনি।

চুলের ব্যাপারে জাপানি ছেলে এবং মেয়েরা অনেক সৌখিন। রাস্তায় বেরলে বিভিন রকমের ও রঙের হেয়ার স্টাইল আপনাকে সেই কথাই বলবে।

ঢাকা থেকে টোকিওর বিমান ভাড়া সাধারণত ৪৫, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**

 


 


৪। ফুকেট

ফুকেটকে বলা হয়ে থাকে পর্যটকদের কাছে এশিয়া এর চতুর্থ জনপ্রিয় শহর। এখানকার বড় আকর্ষণ হল এর মনমুগ্ধকর সৈকতগুলো এবং তাদের ছুয়ে থাকা সচ্ছ সবুজাভ পানি। এখনে পাবেন ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি লম্বা সব নৌকা। ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পাবেন লাইমস্টোনের চমৎকার সব প্রাকৃতিক প্রতিকৃতি। আপনাকে মানসিক ভাবে ফ্রেশ করতে এ সব দৃশ্যই যথেষ্ট। এছাড়া দেখার মোট প্রম্থেপ কেপ, বিগ বুদ্ধা ও নাই হার্ন সৈকতের মোট জায়গা গুলোতো আছেই।




ফুকেট সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য

ফুকেটই থাইল্যান্ডের সবচাইতে বড় দ্বিপ। এর আয়তন প্রায় সিঙ্গাপুরের সমান।

ফুকেট শব্দের অর্থ পাহাড়ি রত্ন।

এখানে মোট ৩৬ টি সৈকত আছে। এর মধ্যে পাতং সবচাইতে বিখ্যাত।

ফুকেটের একটি দ্বিপে ১৯৭৪ সালে জেমস বন্ড সিরিজের একটি ম্যুভি ‘’দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’’ এর শুটিং করা হয়। এরপর থেকে দ্বিপটির নামে জেমস বন্ড দ্বিপ হিয়ে যায়।

ফুকেটে ১৪৮ ফুট (৪৫ মিটার) উঁচু একটি বুদ্ধের মূর্তি আছে যা সত্যিই দেখার মত। এটা ফুকেটের গর্ব বলে বিবেচিত হয়।

দ্বীপটিতে প্রতি বছর ভেজিটেরিয়ান উৎসব হয়ে থাকে ৮ দিন ব্যাপি। এটা থাই সংস্কৃতির বড় একটা অংশ।

ফুকেটের ৭০ শতাংশই পার্বত্য অঞ্চল।

নাওমি ক্যাম্পবেল, লিওনার্দো ডি কাপ্রিও ও কেভিন স্পেসি সহ অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি প্রায়ই ফুকেটে আসেন বেড়াতে।

ঢাকা থেকে ফুকেটের বিমান ভাড়া সাধারণত ১৯, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**

 


৫। বালি

ইন্দোনেশিয়ার বালি সম্পর্কে যারা ভ্রমণ করেননি তারাও জানেন, এমনি এর সুখ্যাতি। এশিয়ার মধ্যে বালিকে বলা হয় পঞ্চম জনপ্রিয়স্থান। বালি তাঁর স্বভাবসুলভ সৌন্দর্য দ্বারা পর্যটকদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে তাঁরা এর একটা নামই দিয়ে ফেলেছে। সেটা হল ‘’পৃথিবীর বুকের স্বর্গ’ বা ‘’হেভেন অন আর্থ’। এখানকার মন মুগ্ধকর রেইন ফরেস্ট, চোখ চেয়ে দেখার মত পর্বতশ্রেণী, সুগভীর এবং সবুজে ঘেরা উপত্যকা একজন পর্যটকের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর শুভ্র বালুকাময় সৈকতের কথা না হয় বাদই এ রাখলাম। বালির সৈকতগুলো পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় এর স্বচ্ছ নীলাভ পানির জন্যে যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাকিটা পাঠকরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারবেন।




বালি সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য

বালি বলতে আসলে তিনটি দ্বিপকে বুঝান হয়। নুসা পেনিদা, নুসা লেম্বোনগান, নিসা কেনিংগান এই তিনটি দ্বিপ মিলে বালি গঠিত।

বালি দ্বিপে বরফের ব্যাবহার সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ট্যাপের পানি খাবার জন্যে খুব একটা নিরাপদ না। তাই বিশুদ্ধ পানি আসে পাশে রাখতে হবে।

স্থানিয়দের সাথে খেতে বসলে খাবার শেষে কিছুটা খাবার প্লেটে রেখেই উঠে পরবেন। পুরোটা শেষ করবেন না। এটাই ওখানকার রিতী। যে খাবার খেয়েছে তাঁর যথেষ্ট পরিমান খাবার হয়েছে এটা বুঝানোর জন্যে এটা করা হয়।

বালি একটি সক্রিয় অগ্নেয়গিরি।

নেপিয় নামে একটি স্থানীয় উৎসব বালিতে হয় প্রতিবছর। উতসবের ঐ একদিন বালির সমস্থ এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকে। এমনি সৈকত, নৌভ্রমণ থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবাগুলোও বন্ধ থাকে।

বালিতে পৃথিবীর সবচাইতে বেশী সংখ্যক স্পা আছে। এর সংখ্যা আনুমানিক ১২০০ এর বেশী হবে।

ঢাকা থেকে বালির বিমান ভাড়া সাধারণত ২২, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।

 


৬। চিয়াং মাই

চিয়াং মাই নামটার সাথে হয়তো অনেকেই তেমন পরিচিত না। তবে অফিসের কাজে বা পরিবার নিয়ে যারাই চিয়াং মাই গিয়েছেন তাঁরা এক বাক্যে বলবেন এর সৌন্দর্যের কথা। পর্যটকদের কাছে  এশিয়া এর ষষ্ঠ জনপ্রিয় থাইল্যান্ডের এই শহরটি পাহাড়ে ঘেরা একটি চমৎকার পরিবেশে অবস্থিত। এখানে আরও আছে দর্শনীয় সব বৌদ্ধ মন্দির। একেকটির অবস্থান বিভিন্নও পাহাড়ের উপরে। সেখানে পৌঁছানোটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জেই তো ভ্রমণের আসল মজা! অ্যাডভেঞ্চার করার মত আরও পাবেন রেইন ফরেস্ট। আরও আছে এলিফ্যান্ট ন্যাচরাল পার্ক।




চিয়াং মাই সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য


চিয়াং মাইকে বলা হয় উত্তর থাইল্যান্ডের রাজধানী।

এর আবহাওয়া বেশ উষ্ণ এবং আরামদায়ক।

চিয়াং মাই ঐতিহ্যগত ভাবে বেশ সমৃদ্ধ। এর রয়েছে ৭০০ বছরেরও বেশী সময়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাস।

এখানে ৫০ টিরও বেশী ন্যাচরাল পার্ক আছে।

৫০ টির মত হাতি সংরক্ষন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আছে।

চিয়াং মাইতে ৩২০ টিরও বেশী মন্দির রয়েছে।

এখানে অনেক বড় বড় শপিং সেন্টার রয়েছে যেগুলোর মান অনেক চমৎকার এবং এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। এর মধ্যে আছে নাইট বাজার, মালিন প্লাজা নাইট মার্কেট, স্যাটার ডে নাইট মার্কেট, সান ডে ওয়াকিং স্ট্রিট, ওয়ারও রত মার্কেট ইত্যাদি। তবে অবশ্যই দরদাম করে কিনবেন।

এখানকার ইন্টারনেট এবং ওয়াই ফাই এর চমৎকার ব্যাবস্থা রয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে।


দেখার মত আরও পাবেন দারুণ সব ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট এবং আর্ট গ্যালারী।

ঢাকা থেকে চিয়াং মাই এর বিমান ভাড়া সাধারণত ১৮ থেকে ২২, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**

 


৭। সিঙ্গাপুর

জনপ্রিয়তার দিক থেকে এশিয়া তে পর্যটকদের কাছে সপ্তম হিসেবে ভোট পেলেও শহরের সৌন্দর্য। নিরাপত্তা কিংবা সুযোগ সুবিধা এশিয়া এর প্রথম তো বটেই, ইউরোপের যেকোন প্রসিদ্ধ শহরের সাথে পাল্লা দেয়ার মত। এখানকার পরিষ্কার, নিরাপদ এবং দুর্নীতি মুক্ত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। ঘুরতে যেতে পারেন লিটল ইন্ডিয়া, গার্ডেনস বাই দ্য বে, বোট্যানিক্যাল গার্ডেন ও সেন্তসা দ্বিপ। দেখার মত আরও আছে বিখ্যাত ইউনিভার্সাল স্টুডিও এর সিঙ্গাপুর শাখা। চোখ জুড়ানো মেরলিওন পার্ক এবং বিখ্যাত সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ারের সাথে তো সবাই কম বেশী পরিচিত।

Previous Post Next Post