আগস্টের শেষদিকে জনপ্রিয় অনলাইন মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও পাভেল দুরভকে গ্রেফতার করেছিল ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। টেলিগ্রাম অ্যাপে অবৈধ কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়া এবং অ্যাপে মডারেশন নিয়ে যথেষ্ট তৎপরতা না থাকার অভিযোগে ফ্রান্সের এক বিমানবন্দরে আটক করা হয় টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহীকে।
তিনি জানান, টেলিগ্রাম কোম্পানির কাছ থেকে যথাযথ জবাব না পাওয়ার কারণে অ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতাকে দায়ী করতে পারে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। আর সেখান থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে সম্প্রতি টেলিগ্রামে এক পোস্টে অ্যাপটিতে নতুন কিছু পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন পাভেল দুরভ।
টেলিগ্রাম অ্যাপ এবং টুইটারে দেয়া ঐ পোস্টে পাভেল অ্যাপটিতে নতুন কিছু সুবিধা আনার পাশাপাশি পুরাতন দুটি ফিচার বন্ধ করার ঘোষণা দেন। তার মতে, যে ফিচারদুটি বন্ধ করা হচ্ছে সেগুলো অনেক আগে চালু করা হয়েছিল যা বর্তমানে অপব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়ার তালিকায় প্রথম থাকছে টেলিগ্রামের ‘পিপল নিয়ারবাই’ ফিচার, যা ব্যবহার করে আশেপাশে থাকা টেলিগ্রাম ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করা যেত। এটি ফোনের লোকেশন ট্র্যাকিং সুবিধা ব্যবহার করে আশেপাশে থাকা টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের খুঁজে বের করে তাদেকে মেসেজ দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারত। ফোনের চারপাশের ২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ব্যবহারকারীদের মেসেজ দেয়ার ফিচার ছিল সেটি।
তবে পাভেল জানান, পিপল নিয়ারবাই মাত্র ০.১% টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতেন, এবং ফিচারটির অপব্যবহারও হচ্ছিল। এখন ফিচারটি বন্ধ করে দিয়ে এর জায়গায় ‘বিজনেসেস নিয়ারবাই’ নামক নতুন একটি ফিচার আনা হচ্ছে, যা দিয়ে কাছাকাছি থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে, তাদের পণ্য দেখা ও কেনাকাটা করাও সম্ভব হবে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ফিচারটি হচ্ছে টেলিগ্রাফে মিডিয়া আপলোডের সুবিধা। টেলিগ্রামের একটি নিজস্ব ব্লগিং টুল হচ্ছে টেলিগ্রাফ যেখানে ব্যবহারকারীরা নিজের নাম/পরিচয় প্রকাশ না করেই ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করতে পারেন। সেগুলো লিংক দিয়ে শেয়ারও করা যায়। টেলিগ্রাফে এতদিন মিডিয়া ফাইল (ছবি, ভিডিও, ইত্যাদি) আপলোড করা যেত। কিন্তু এখন থেকে টেলিগ্রাফে নতুন কোনো মিডিয়া ফাইল আপলোড করা যাবেনা। পাভেল জানান, বেনামী ব্যবহারকারীরা এর অপব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টেলিগ্রাম এর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। টেলিগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা, পাভেল দুরোভ জানান যে বর্তমানে টেলিগ্রাম অ্যাপ এর প্রায় ৫০০মিলিয়ন স্বক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। চলুন জেনে নিই তুমুল জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত।
ফেসবুক এর বিভিন্ন অ্যাপ, যেমন মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ এর পাশাপাশি টেলিগ্রাম একটি আদর্শ কলিং ও মেসেজিং অ্যাপ হতে পারে। এই অ্যাপটি এতোটাই ফিচারে ভরপুর যে সব ফিচার হয়ত আপনার ব্যবহার করাও হয়ে উঠবে না।
টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ক্রস প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট সুবিধা। পিসি, লিনাক্স, ম্যাক, বা ব্রাউজার থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস পর্যন্ত এমন কোনো অপারেটিং সিস্টেম নেই যাতে টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সাপোর্ট নেই।
টেলিগ্রাম কি নিরাপদ?
যেকোনো কলিং বা মেসেজিং অ্যাপে মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারসমূহ কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করেন বলে এসব অ্যাপ এর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেলিগ্রাম অ্যাপ এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্ধিগ্ন হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
টেলিগ্রাম অ্যাপটিতে অসংখ্য ফিচার থাকলেও, এই অ্যাপের প্রধান আকর্ষণ মূলত অ্যাপটির এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। তবে টেলিগ্রাম এর সকল চ্যাটই এই লেভেলের প্রাইভেসি বজায় রাখে, এমন কিন্তু না।
টেলিগ্রাম এর অধিকাংশ মেসেজই ক্লায়েন্ট-টু-সার্ভার এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে এই ফিচারটি যেকোনো ডিভাইসে একই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টেলিগ্রাম এর চ্যাটসমুহ অ্যাকসেস এর সুবিধা দেয়। তাই এটি তেমন চিন্তার কোনো বিষয় নয়।
আপনি যদি একান্তই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চান, সেক্ষেত্রে টেলিগ্রাম এর Secret Chat ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। এসব চ্যাট শুধুমাত্র একটি ডিভাইসে অ্যাকসেস করা যায় এবং নিরাপত্তার দিকে দিয়ে দারুণ কার্যকর।
টেলিগ্রাম এর প্রাইভেসি ও সিকিউরিটিকে বিশ্বাসযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। টেলিগ্রাম এর সার্ভিস সমুহের এপিআই (API) ওপেন সোর্স কোড এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
টটেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট এর ধরন
টেলিগ্রাম ব্যবহার এর সময় একাধিক ধরনের একাউন্ট দেখতে পাবেন। টেলিগ্রামে সাধারণ চ্যাট এর পাশাপাশি রয়েছে চ্যানেল, বট, ইত্যাদি। টেলিগ্রাম চ্যানেল অনেকটা ফেসবুক পেজ এর মতো। এসব চ্যানেলে পোস্ট করা মিডিয়া পাবলিকালি দেখা যায়। আবার অন্যদিকে বট হচ্ছে অটোমেটেড চ্যাট এজেন্ট, যেগুলো নিজ থেকেই মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম।
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে প্রথমেই একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। চলুন ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক অ্যাপ ব্যবহার করে টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম।
টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড
টেলিগ্রাম অ্যাপ আপনার হাতের কাছে থাকা যেকোনো ডিভাইসেই ব্যবহার করা যাবে। টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করতে নিচের তালিকা থেকে আপনার ডিভাসটি নির্বাচন করুনঃ
উল্লেখ্য যে ডেস্কটপ থেকে টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে হলে প্রথমে অবশ্যই মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সেটিংস করে নিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট চালু করতে প্রথমেই টেলিগ্রামে প্রবেশ করে আপনার ফোন নাম্বার প্রদান করুন। এরপর টেলিগ্রাম থেকে কল বা মেসেজ এ আসা কোডটি প্রদান করুন ও ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন করুন।
ফোন নাম্বার নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার পর অ্যাপে ব্যবহার এর জন্য একটি নাম দিন। চাইলে তৎক্ষণাৎ একটি প্রোফাইল পিকচারও জুড়ে দিতে পারেন আপনার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের সাথে।
পারমিশন
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার কন্টাক্টস এর অ্যাকসেস এর পারমিশন চাওয়া হবে। আপনার ফোন নাম্বার লিস্টের কে কে টেলিগ্রাম ব্যবহার করে তা জানতে Allow করে দিন।
এরপর আপনার ফোনের ফটোস, মিডিয়া ও ফাইলস এর অ্যাকসেস এর পারমিশন চাইবে টেলিগ্রাম। আপনি যেহেতু টেলিগ্রাম ব্যবহার করে ছবি, ভিডিও, ইত্যাদি পাঠাবেন বা সেভ করবেন, তাই নিশ্চিন্তে Allow ট্যাপ করুন।
এরপর লকস্ক্রিনে চলমান কল কিংবা রিসিভ করা মেসেজ এর নোটিফিকেশন দেখা জারি রাখতে লকস্ক্রিন এর অ্যাকসেস এর পারমিশন Allow করে দিন।
সেটিংস
টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রবেশ করে হ্যামবার্গার মেন্যু তে ট্যাপ করে Settings এ প্রবেশ করলে টেলিগ্রাম এর সকল সেটিংস দেখতে পাবেন। এখান থেকে টেলিগ্রাম এর সকল ফিচার নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাস্টমাইজ করার সুযোগ রয়েছে।
টেলিগ্রাম পিন
টেলিগ্রাম একাউন্ট তৈরী করতে কোনো ধরনের পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হয় না। তাই আপনার ফোনের লক খোলা থাকলে যেকেউ খুব সহজে আপনার টেলিগ্রাম চ্যাটস দেখতে পারবে।
আপনার টেলিগ্রাম চ্যাটসমুহ এই সমস্যা থেকে নিরাপদ ও গোপন রাখতে ব্যবহার করতে পারেন টেলিগ্রাম এর পিন ফিচারটি। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি একটি পিন সেট করতে পারবেন, যা টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রতিবার প্রবেশের সময় এন্টার করতে হবে।
টেলিগ্রাম পিন সেট করতে টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রবেশ করে টপ লেফট কর্নার থেকে হ্যামবার্গার মেন্যু তে ট্যাপ করুন। এরপর Settings এ ট্যাপ করুন। Privacy & Security সেকশনে প্রবেশ করুন।
আপনার টেলিগ্রাম অ্যাপ এর জন্য যে পিন সেট করতে চান সেটি লিখে টিক মার্কে ক্লিক করে পাসকোড লক সেট করুন। এছাড়াও প্রতিবার পাসকোড সেট করার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহারের ফিচার ও রয়েছে।
টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করার নিয়ম
টেলিগ্রাম অ্যাপ কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। অ্যাপ এ প্রবেশের পর ডানদিকে নিচের কর্নারে থাকা পেন্সিল আইকনে ক্লিক করে যে কারো সাথে টেলিগ্রামে চ্যাট করা যাবে।
আবার টেলিগ্রামে একটি গ্রুপ চ্যাটে সর্বোচ্চ ২০,০০০ জন মেম্বার যুক্ত করা যায়। একই পেনসিল আইকনে ক্লিক করার পর New Group এ ক্লিক করে খুব সহজেই টেলিগ্রাম গ্রুপ চ্যাট খোলা যাবে।
টেলিগ্রাম এর যেকোনো চ্যাটে প্রবেশ করে থ্রি-ডট মেন্যুতে ট্যাপ করলে অডিও কল, ভিডিও কল, সার্চ, ক্লিয়ার হিস্টোরি, নোটিফিকেশন মিউট করার অপশন, ইত্যাদি অপশন পাওয়া যাবে।
আপনি কি টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করেন? যদি টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করেন, তবে অ্যাপটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনে।
Asia is the biggest continent, not only in terms of population but also in terms of area.. Asia is a diverse region, with a multi-cultural population living in unity. In no region of the world, you will find this level of geographical, religious and cultural diversity all blending into a beautiful amalgam.
There is so much to see and do in this land that you will easily need months for it. But don’t worry, we are simplifying your planning process by providing you a list of 06 best places to visit in Asia.
So, let’s begin our trip to Asia!!
1. Phuket – Thailand
2. Hoi An- Vietnam
3. Beijing- China
4. Bali- Indonesia
5. Nuwara Eliya- Sri Lanka
6. Pokhara- Nepal
1. Phuket-Thailand
Let’s begin our trip to Asia by visiting a happy and fun place. Thailand is one of the most beautiful holiday destinations and is quite popular as a honeymoon paradise for people all across the world. Thus, if you are planning to visit one of the cleanest and most beautiful beaches in Asia, you must visit Phuket.
Best time to visit: November to February end Ideal Duration: 4 Nights/5 Days Currency: Thai Baht Language: Thai Thai
2. Hoi An- Vietnam
The ancient city of Hoi An is one of the best places to explore the famous world heritage sites. You can also participate in the Hoi An lantern festival which makes it one of the unique places to visit in Asia. Visit the different museums and participate in various festivals and events to get the best taste of Asian culture and tradition.
Best time to visit: February to June Ideal Duration: 1 Day Currency: Vietnamese dong Language: Thai Vietnamese
3. Beijing- China
If you think that China is famous just for electronic equipment and technology, you are mistaken. You can get a peek into the ancient history and cultures of Chinese civilization with Beijing being the best place for it. China is home to seven UNESCO World Heritage sites and thus, a trip to Beijing can be one of the top 10 places to visit in Asia. The city will offer you visit to many pagodas and temples dedicated to Lord Buddha. Thus, Beijing is a must-visit place if you have an interest in history, culture, and religion.
Best time to visit: September to October Ideal Duration: 4 Nights/5 Days Currency: Yuan Renminbi Language: Thai Mandarin
4. Bali- Indonesia
For a refreshing holiday experience, no place can be a better choice than Bali, Indonesia. You can indulge in different adventure sports as well as relax on the beaches to get the best holiday ever. The best part about Bali is that it has something for everyone and never fails to amaze any of its visitors that visit the place every year. Thus, for a soothing and peaceful holiday, visit Bali this summer.
Best time to visit: April to SeptemberIdeal Ideal Duration: 5 Nights/6 Days Currency: Indonesian Rupiah Language: Thai Bahasa Bali And Bahasa Indonesia
5. Nuwara Eliya- Sri Lanka
If you are thinking about visiting Asia, you can’t miss Sri Lanka out of your plan. Sri Lanka is one of the most beautiful places to visit in Asia. Surrounded by the Indian Ocean on one side and the Bay of Bengal on the other, this country is rich in all-natural beauties. Nuwara Eliya in Srilanka is blessed with lush green valleys, tea gardens, and rolling hills. Thus, to treat your eyes with natural beauties, you must plan a visit to the Nuwara Eliya in Sri Lanka.
Best time to visit: February to April Ideal Duration: 1 Night/2 Days Currency: Sri Lankan rupee Language: Thai Sinhala and Tamil
6. Pokhara- Nepal
Nepal is a country that will offer you the most magnificent view of the Himalayas. Pokhara, a small city in Nepal is visited every year by adventure lovers and people who love to hike. Even at the highest points in Pokhara, the visibility is good, and you can easily go hiking. But, keep in mind to visit Pokhara in the spring and summer months, so that you don’t have to come across any kind of avalanche or landslides.
Best time to visit: September to November Ideal Duration: 2 Nights/3 Days Currency: Nepalese rupee Language: ThaiNepali
সমগ্র বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এশিয়া এর দেশগুলোর একটা বিশেষ কদর আছে। একঘেয়েমি শীত প্রধান অথবা শুষ্ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত পশ্চিমা নাগরিকরা তাই এশিয়া এর উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়ার ছোঁয়া পেতে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসতে মোটেও দ্বিধা করে না। এখানকার আবহাওয়া, মানুষ জন এবং সংস্কৃতি সবই যেন তাদের কাছে নতুনত্ব বয়ে নিয়ে আসে। পশ্চিমারা সাধারণত এশিয়া তে আসে একটু উষ্ণ এবং মসলাদার স্বাদ পাবার জন্যে, সেটা পরিবেশ, মানুষ, প্রকৃতি বা খাবার যাই হোক না কেন। এশিয়া তাদের কখনই নিরাশ করেনি। এশিয়া তাঁর সীমাহীন বৈচিত্র্য দিয়ে বারবার পশ্চিমাদের মন জয় করে নিয়েছেন।
বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ইউ এস নিউজ সম্প্রতি পর্যটকদের পছন্দের উপর ভিত্তি করে কাছে এশিয়া এর সবচাইতে জনপ্রিয় স্থানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে। আমরা সেই তালিকার ছায়া অবলম্বনে আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি এশিয়া এর সবচাইতে জনপ্রিয় ৭টি শহরের বর্ণনা নিয়ে। আমরা শুরু এশিয়া করেছি সর্বোচ্চ জনপ্রিয় শহর থেকে।
১। হংকং
এশিয়া কে পৃথিবীর বুকে সুপরিচিত করতে যে কয়টি রাষ্ট্রকে প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়, হংকং তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রাক্তন এই ব্রিটিশ কলোনিটিকে চীনের প্রবেশদ্বার বলা যেতে পারে। তবে এখানকার মানুষজন এবং তাদের সংস্কৃতিতে চীনা প্রভাব থাকলেও তা চাইনিজদের থেকে অনেক আলাদা। দীর্ঘদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিনে থাকার কারণে তাদের চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে প্রায় জীবনের সব ক্ষেত্রেই পশ্চিমা একটা প্রভাব খেয়াল করা যায়। পুরো হংকং শহর অনেক উন্নত এবং পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি করা। ছোট এই এলাকার জনবসতি অনেক বেশী হলেও পর্যাপ্ত পরিকল্পনার কারণে এখানে নেই কোন ট্রাফিক জ্যাম বা অন্য কোন অব্যাবস্থা। নেই দুর্নীতি, নোংরা পরিবেশ অথবা নিরাপত্তাহিনতা। হংকং এর আরও প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো উপভোগ করতে চাইলে এর আশে পাশে ছড়ানো দ্বিপগুলোতে বেড়াতে যেতে হবে। এখানে পাবেন অনেক সুন্দর সব সৈকত এবং সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা।
হংকং সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য
হংকং দ্বিপ, লান্তাউ দ্বিপ, কউলুন পেইনিনসুলা সহ মত ২৬২ টি দ্বিপ মিলে হংকং গঠিত।
এটা পৃথিবীর চতুর্থ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তালিকার প্রথমে আছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হলেও নগরায়নের জন্যে ২৫% জায়গা এবং পার্ক ও বিনোদনের জন্যে ৪০% যায়গা বরাদ্দ আছে। বাকি এলাকা পুরোটাই বনাঞ্চল।
হংকং এর বাসিন্দাদের হংকঙ্গিজ বা হংকঙ্গার বলা হয়।
এখানে চীনা (ক্যান্টোনিজ) এবং ইংরেজি এই দুই ধরনের ভাষা প্রচলিত আছে।
হংকং এর মানুষের গড় আয়ু পৃথিবীতে সবচাইতে বেশী। পুরুষদের ৮১.২ বছর এবং নারীদের গড় আয়ু .৮৬.৯ বছর।
হংকং কে বলা হয় স্কাইস্ক্র্যাপারের শহর। কোন বিল্ডিং ১৪ তলার বেশী হলে তাঁকে স্কাইস্ক্র্যাপার বলা হয়। সেই হিসেবে হংকং এ সবচাইতে বেশী স্কাইস্ক্র্যাপার আছে।
ঢাকা থেকে হংকং বিমান ভাড়া জনপ্রতি ২২,২০০ – ২২,৩০০ টাকা থেকে শুরু হয়।**
২। মালদ্বীপ
সভ্যতা থেকে অনেকটা দুরেই অবস্থিত ভারত মহাসাগরের এই চমৎকার দ্বিপপুঞ্জ। প্রায় ১২০০ দ্বিপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই চমৎকার দেশটি। এখানকার প্রায় প্রতিটি দ্বিপেই আছে শুভ্র বালুকাময় সৈকত, কোরাল রিফ এবং সচ্ছ নীলাভ পানির এক অপূর্ব সমন্বয়। মালদ্বীপকে বলা হয় এশিয়াএর দ্বিতীয় চমৎকার পর্যটন কেন্দ্রও, চতুর্থ আরাম দায়ক সৈকত সমৃদ্ধ এলাকা ও পঞ্চম হানিমুন গন্তব্য!এখানকার সৈকত গুলো স্কুবা ডাইভিং এবং স্নরকেলিং করার জন্যে আদর্শ, যা আপনার মনকে বর্ণিল অভিজ্ঞতায় ভরে দিবে।
মালদ্বীপ সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য
মালদ্বীপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একজন নির্বাসিত রাজা দ্বারা। কলিঙ্গের রাজার তাঁর ছেলে আদিত্যর উপর রেগে গিয়ে রাজা তাঁকে মালদ্বীপে নির্বাসন দেন। এর পর রাজা আদিত্য সেখানে তাঁর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
মালদ্বীপে প্রায় ১১৯০ টি কোরাল রয়েছে।
পৃথিবীর মধ্যে মালদ্বীপের অবস্থান সবচাইতে নিচু ভুমি। এছাড়া এটি পৃথিবীর সবচাইতে সমতল ভুমি।
শুধুমাত্র রিসোর্ট ও হোটেল ব্যাতিত অন্য কোথাও অ্যালকোহল পাওয়া যায় না।
মালদ্বীপ পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ।
ছুটি কাটানোর জন্যে মালদ্বীপ খুব নিরাপদ একটি জায়গা।
মালদ্বীপে শুক্রবার এবং শনিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ধরা হয়ে থাকে।
এই দেশে শিক্ষিতের হার শতকরা ৯৮ % যা পৃথিবীর অন্যতম সর্বচ্চ।
মালদ্বীপেই বিশ্বের প্রথম আন্ডার ওয়াটার ক্যাবিনেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
৩। টোকিও
টোকিওকে বলা হয়ে থাকে এশিয়া এর তৃতীয় চমৎকার শহর। শুধু এশিয়া না বরং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এবং আধুনিক শহর বলা হয়ে থাকে এই টোকিওকে। একই সাথে দেশের রাজধানী এবং প্রধান শহর হবার কারণে এখনা এখানে জনবসতি ও ব্যাস্ততা অনেক বেশী। রাস্তায় অনেক ভিড় থাকে। সেদিক থেকে নতুন পর্যটকদের জন্যে অনেক সময় ঝামেলাময় কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু টোকিওর মত একটি শহরের অভিজ্ঞতা নিতে হলে আপনাকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতেই হবে। শহরের পুরোটাই আসলে অনেক মনমুগ্ধকর। এর পাশাপাশি জুকিজি মার্কেট, টোকিও ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও মেইজি স্রাইনের মত অনেক দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দুর্লভ অভিজ্ঞতা পাবেন।
টোকিও সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য
জায়গার তুলনায় টোকিওতে অনেক বেশী পরিমান লোকজন বসবাস করে তাই রাস্তাঘাটে খুবই ভিড় থাকে।
এখানে চলতে হলে আপনাকে অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। যেমন বাস স্ট্যান্ড, লিফট, কিংবা খাবরের জন্যও অবশ্যই লাইন ধরতে হবে, অন্যদের সহযোগিতা করতে হবে, কাউকে বিরক্ত করা যাবে না ইত্যাদি। এগুলা মোটামুটি আইন হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাপানের মানুষ জন অনেক ভদ্র আর বিনয়ি হয়।
রাস্তায় চলতে গেলে আপনি অনেক মজার মজার স্ট্রিট সাইন দেখতে পাবেন।
এখানকার মানুষ অনেক ফ্যাশনপ্রিয়। তাঁরা প্রচুর ট্যাটু করে, পশ্চিমা স্টাইলে চুল কাটে। চুল রঙ করার ব্যাপারে আধুনিক জাপানিদের বিশেষ দুর্বলতা আছে।
এখানকার খাবার দাবার অনেক সস্তা, কম দামি এবং স্বাস্থ্যসম্মত। এবং খুব সহজেই হাতের কাছেই তা পেয়ে যাবেন আপনি।
চুলের ব্যাপারে জাপানি ছেলে এবং মেয়েরা অনেক সৌখিন। রাস্তায় বেরলে বিভিন রকমের ও রঙের হেয়ার স্টাইল আপনাকে সেই কথাই বলবে।
ঢাকা থেকে টোকিওর বিমান ভাড়া সাধারণত ৪৫, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**
৪। ফুকেট
ফুকেটকে বলা হয়ে থাকে পর্যটকদের কাছে এশিয়া এর চতুর্থ জনপ্রিয় শহর। এখানকার বড় আকর্ষণ হল এর মনমুগ্ধকর সৈকতগুলো এবং তাদের ছুয়ে থাকা সচ্ছ সবুজাভ পানি। এখনে পাবেন ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি লম্বা সব নৌকা। ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পাবেন লাইমস্টোনের চমৎকার সব প্রাকৃতিক প্রতিকৃতি। আপনাকে মানসিক ভাবে ফ্রেশ করতে এ সব দৃশ্যই যথেষ্ট। এছাড়া দেখার মোট প্রম্থেপ কেপ, বিগ বুদ্ধা ও নাই হার্ন সৈকতের মোট জায়গা গুলোতো আছেই।
ফুকেট সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য
ফুকেটই থাইল্যান্ডের সবচাইতে বড় দ্বিপ। এর আয়তন প্রায় সিঙ্গাপুরের সমান।
ফুকেট শব্দের অর্থ পাহাড়ি রত্ন।
এখানে মোট ৩৬ টি সৈকত আছে। এর মধ্যে পাতং সবচাইতে বিখ্যাত।
ফুকেটের একটি দ্বিপে ১৯৭৪ সালে জেমস বন্ড সিরিজের একটি ম্যুভি ‘’দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’’ এর শুটিং করা হয়। এরপর থেকে দ্বিপটির নামে জেমস বন্ড দ্বিপ হিয়ে যায়।
ফুকেটে ১৪৮ ফুট (৪৫ মিটার) উঁচু একটি বুদ্ধের মূর্তি আছে যা সত্যিই দেখার মত। এটা ফুকেটের গর্ব বলে বিবেচিত হয়।
দ্বীপটিতে প্রতি বছর ভেজিটেরিয়ান উৎসব হয়ে থাকে ৮ দিন ব্যাপি। এটা থাই সংস্কৃতির বড় একটা অংশ।
ফুকেটের ৭০ শতাংশই পার্বত্য অঞ্চল।
নাওমি ক্যাম্পবেল, লিওনার্দো ডি কাপ্রিও ও কেভিন স্পেসি সহ অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি প্রায়ই ফুকেটে আসেন বেড়াতে।
ঢাকা থেকে ফুকেটের বিমান ভাড়া সাধারণত ১৯, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**
৫। বালি
ইন্দোনেশিয়ার বালি সম্পর্কে যারা ভ্রমণ করেননি তারাও জানেন, এমনি এর সুখ্যাতি। এশিয়ার মধ্যে বালিকে বলা হয় পঞ্চম জনপ্রিয়স্থান। বালি তাঁর স্বভাবসুলভ সৌন্দর্য দ্বারা পর্যটকদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে তাঁরা এর একটা নামই দিয়ে ফেলেছে। সেটা হল ‘’পৃথিবীর বুকের স্বর্গ’ বা ‘’হেভেন অন আর্থ’। এখানকার মন মুগ্ধকর রেইন ফরেস্ট, চোখ চেয়ে দেখার মত পর্বতশ্রেণী, সুগভীর এবং সবুজে ঘেরা উপত্যকা একজন পর্যটকের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর শুভ্র বালুকাময় সৈকতের কথা না হয় বাদই এ রাখলাম। বালির সৈকতগুলো পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় এর স্বচ্ছ নীলাভ পানির জন্যে যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাকিটা পাঠকরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারবেন।
বালি সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য
বালি বলতে আসলে তিনটি দ্বিপকে বুঝান হয়। নুসা পেনিদা, নুসা লেম্বোনগান, নিসা কেনিংগান এই তিনটি দ্বিপ মিলে বালি গঠিত।
বালি দ্বিপে বরফের ব্যাবহার সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ট্যাপের পানি খাবার জন্যে খুব একটা নিরাপদ না। তাই বিশুদ্ধ পানি আসে পাশে রাখতে হবে।
স্থানিয়দের সাথে খেতে বসলে খাবার শেষে কিছুটা খাবার প্লেটে রেখেই উঠে পরবেন। পুরোটা শেষ করবেন না। এটাই ওখানকার রিতী। যে খাবার খেয়েছে তাঁর যথেষ্ট পরিমান খাবার হয়েছে এটা বুঝানোর জন্যে এটা করা হয়।
বালি একটি সক্রিয় অগ্নেয়গিরি।
নেপিয় নামে একটি স্থানীয় উৎসব বালিতে হয় প্রতিবছর। উতসবের ঐ একদিন বালির সমস্থ এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকে। এমনি সৈকত, নৌভ্রমণ থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবাগুলোও বন্ধ থাকে।
বালিতে পৃথিবীর সবচাইতে বেশী সংখ্যক স্পা আছে। এর সংখ্যা আনুমানিক ১২০০ এর বেশী হবে।
ঢাকা থেকে বালির বিমান ভাড়া সাধারণত ২২, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।
৬। চিয়াং মাই
চিয়াং মাই নামটার সাথে হয়তো অনেকেই তেমন পরিচিত না। তবে অফিসের কাজে বা পরিবার নিয়ে যারাই চিয়াং মাই গিয়েছেন তাঁরা এক বাক্যে বলবেন এর সৌন্দর্যের কথা। পর্যটকদের কাছে এশিয়া এর ষষ্ঠ জনপ্রিয় থাইল্যান্ডের এই শহরটি পাহাড়ে ঘেরা একটি চমৎকার পরিবেশে অবস্থিত। এখানে আরও আছে দর্শনীয় সব বৌদ্ধ মন্দির। একেকটির অবস্থান বিভিন্নও পাহাড়ের উপরে। সেখানে পৌঁছানোটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জেই তো ভ্রমণের আসল মজা! অ্যাডভেঞ্চার করার মত আরও পাবেন রেইন ফরেস্ট। আরও আছে এলিফ্যান্ট ন্যাচরাল পার্ক।
চিয়াং মাই সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য
চিয়াং মাইকে বলা হয় উত্তর থাইল্যান্ডের রাজধানী।
এর আবহাওয়া বেশ উষ্ণ এবং আরামদায়ক।
চিয়াং মাই ঐতিহ্যগত ভাবে বেশ সমৃদ্ধ। এর রয়েছে ৭০০ বছরেরও বেশী সময়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাস।
এখানে ৫০ টিরও বেশী ন্যাচরাল পার্ক আছে।
৫০ টির মত হাতি সংরক্ষন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আছে।
চিয়াং মাইতে ৩২০ টিরও বেশী মন্দির রয়েছে।
এখানে অনেক বড় বড় শপিং সেন্টার রয়েছে যেগুলোর মান অনেক চমৎকার এবং এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। এর মধ্যে আছে নাইট বাজার, মালিন প্লাজা নাইট মার্কেট, স্যাটার ডে নাইট মার্কেট, সান ডে ওয়াকিং স্ট্রিট, ওয়ারও রত মার্কেট ইত্যাদি। তবে অবশ্যই দরদাম করে কিনবেন।
এখানকার ইন্টারনেট এবং ওয়াই ফাই এর চমৎকার ব্যাবস্থা রয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে।
দেখার মত আরও পাবেন দারুণ সব ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট এবং আর্ট গ্যালারী।
ঢাকা থেকে চিয়াং মাই এর বিমান ভাড়া সাধারণত ১৮ থেকে ২২, ০০০ টাকা বা তাঁর কাছাকাছি থেকে শুরু হয়।**
৭। সিঙ্গাপুর
জনপ্রিয়তার দিক থেকে এশিয়া তে পর্যটকদের কাছে সপ্তম হিসেবে ভোট পেলেও শহরের সৌন্দর্য। নিরাপত্তা কিংবা সুযোগ সুবিধা এশিয়া এর প্রথম তো বটেই, ইউরোপের যেকোন প্রসিদ্ধ শহরের সাথে পাল্লা দেয়ার মত। এখানকার পরিষ্কার, নিরাপদ এবং দুর্নীতি মুক্ত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। ঘুরতে যেতে পারেন লিটল ইন্ডিয়া, গার্ডেনস বাই দ্য বে, বোট্যানিক্যাল গার্ডেন ও সেন্তসা দ্বিপ। দেখার মত আরও আছে বিখ্যাত ইউনিভার্সাল স্টুডিও এর সিঙ্গাপুর শাখা। চোখ জুড়ানো মেরলিওন পার্ক এবং বিখ্যাত সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ারের সাথে তো সবাই কম বেশী পরিচিত।